
ওয়ালস্ট্রিট বোমা হামলাঃ আমেরিকার অমিমাংসিত রহস্য।
এফবিআই, সিআইএ, কিংবা সিক্রেট সার্ভিস যাদের নামের সাথেই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত আমেরিকার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা সারা পৃথিবীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অনবরত সাফল্যই যাদের নামের সাথে লেখা। সাফল্যের দিক থেকে তারা অনন্য। অবিশ্বাস্য সব কৌশলে অনেক দুর্ধর্ষ ও লোমহর্ষক অপারেশনের নেপথ্যে আছে এসব সংস্থার হাত। তাদের সুকৌশলি চিন্তাভাবনাই তাদের সফল্য এনে দিয়েছে। ধূর্ততা, অনন্য কৌশল, আর প্রচণ্ড আগ্রহই তাদের শ্রেষ্ঠ করে তুলেছে।
কিন্তু কথায় আছে, অনবরত সাফল্য বা অবধারিত সাফল্য বলতে কোনো কথা নেই। কখনো না কখনো অবধারিত সাফল্যের মধ্যেও ব্যর্থতার পালক যুক্ত হয়। তাদের চোখের সামনে, নাকের ঢগায় সংঘটিত হয়েছে অসংখ্য ভয়াবহ হামলা। যেসব হামলার নেপথ্যের ইতিহাস বের করতে পারেনি আমেরিকান কোনো গোয়েন্দা সংস্থা।
এমনই একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো নিউইয়র্ক শহরের ওয়ালস্ট্রিট বোমা হামলা। বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে এটি সংঘটিত হয়। পুলিশ কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার শত প্রচেষ্টার পরও আজ পর্যন্ত অজানা রয়ে গেছে এর রহস্য। অতি সুক্ষ ব্যাপার থেকেও যেখানে বিশদ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে সমাধান করে ফেলে আমেরিকান গোয়েন্দা, সেখানে এই রহস্য সমাধানের মুখ আজো দেখেনি।
আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় স্টক এক্সচেঞ্জসমূহের হেডকোয়ার্টার অবস্থিত ওয়ালস্ট্রিটে। আমেরিকার অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র বিন্দু হলো এটি। এখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয় আমেরিকার শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থা। ওয়ালস্ট্রিটের সর্বদক্ষিণদিকের অংশটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তৎকালীন প্রভাবশালী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান জে পি মর্গান অ্যান্ড কো.-এর সদরদপ্তর ছিল এখানে। এছাড়াও ছিল আমেরিকার সাব-ট্রেজারি অফিস, নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ১১টি স্টক নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ওয়ালস্ট্রিটে শুরু হয় অর্থনৈতিক লেনদেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ধীরে ধীরে জমজমাট হতে থাকে এই অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে। আমেরিকার বাড়তে থাকা অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র হয়ে ওঠে এই ওয়ালস্ট্রিট। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই নৈরাজ্যবাদী এবং সন্ত্রাসীদের কুদৃষ্টি ও হিংসাত্মক মানসিকতার স্বিকার হতে হয়। অর্থনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হওয়ার পাশাপাশি সন্ত্রাসীদের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতেও পরিণত হয় এই জায়গাটি।
তারা মনে করে, সারা পৃথিবীতে ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে ওঠা পুঁজিবাদী অর্থনীতির প্রতিনিধিত্ব করছে এখানকার প্রতিষ্ঠানগুলো। সমগ্র দুনিয়ার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে এখানকার প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে। নৈরাজ্যবাদীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হুমকি দামকি দিলেও নিউ ইয়র্কের পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ব্যাপারটিকে ততটা আমলে নেননি। গুরুত্বপূর্ণ মনে করেননি।
১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২০। দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। আবহাওয়া অধিদফতরের ভাষ্যমতে বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিলো আগে থেকেই। ওয়ালস্ট্রিটে যথারীতি কর্মব্যস্তময় আরেকটি দিন। ভোর হওয়ার পর থেকেই সেখানকার রাস্তা, ফুটপাত , দোকানপাট সব ভরে উঠেছিলো ব্যবসায়ী, পথচারী, হকার ও ক্রেতা-বিক্রেতায়। সকাল গড়িয়ে দুপুর। ঠিক এমন সময় জে পি মর্গান অ্যান্ড কো. সদর দপ্তরের পাশেই একটি ঘোড়াসহ মালবাহী গাড়ি এসে পৌছায়। প্রতিদিনকার মতোই এটি ছিলো খুব সাধারণ একটা ঘটনা। প্রতিদিন শতশত গাড়ি এই পথে যাতায়াত করে। কিন্তু, কেউ ধারণাও করতে পারেনি, এর ভেতরে ছিল ১০০ পাউন্ডের ডিনামাইট, যা ৫০০ পাউন্ড লোহার টুকরা দিয়ে পূর্ণ ছিল।
দুপুর বারোটা বাজার সাথে সাথে সেখানকার নিকটবর্তী চার্চে দুপুরের খাবার গ্রহণের জন্যে ভিড় জমায় ওয়ালস্ট্রিটের রাস্তার আশেপাশের লোকজন। সময় বাড়ার সাথেসাথেই বাড়তে থাকে মানুষের আনাগোনা। খাওয়াদাওয়া করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে তারা। ঠিক তখনই এমন এক ভয়াবহ কান্ড ঘটে বসে যার জন্যে কখনোই প্রস্তুত ছিলোনা ওয়ালস্ট্রিটের লোকজন কিংবা পুরো বিশ্ববাসী। মর্গান অ্যান্ড কো. সদর দপ্তরের পাশে রাখা ঘোড়াসহ মালবাহী গাড়িটি হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। কয়েক মাইল দূর থেকেও শোনা যায় সেই বিস্ফোরণের শব্দ। মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় চারিদিক। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তে থাকে লোহার টুকরো,ইট, ভাঙা কাঁচ আর আগুনের কুণ্ডলী। আগুন, লোহার টুকরো আর মানুষের আর্তনাদে একাকার হয়ে উঠলো পুরো এলাকা। অসংখ্য মানুষ নিহত হয়। লাশের স্তুপ জমতে থাকে। বাতাস ভারী হয়ে ওঠে ধোঁয়ার কুণ্ডলী, লাশের গন্ধ আর আহতদের আর্তনাদে।
বিস্ফোরণের কিছুক্ষণের মধ্যেই নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের সমস্ত লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ও সাংবাদিকবৃন্দ । দ্রুততার সাথে আহতদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে। নিহতের ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
কর্মরত নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা সারারাত পরিশ্রম করে বিস্ফোরণস্থল এবং আশেপাশের ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করে ফেলে । অল্প সময়ের মধ্যেই কর্মীরা বিস্ফোরণস্থল মোটামুটি আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।
১৭ সেপ্টেম্বর, সকালে নতুনভাবে আবারও শুরু হয় এখানকার ব্যস্ততা। নিহতদের স্মরণে হামলায় বেঁচে যাওয়া কর্মীরা সবাই তাদের কর্মময় জীবন আবারো শুরু করার আগে গেয়ে উঠেন আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত। প্রানপণে স্মরণ করা হয় নিহতদের। হামলার পরপরই নিউ ইয়র্ক পুলিশ, সিক্রেট সার্ভিস এবং ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পরবর্তীতে এফবিআই) তদন্তে নেমে পড়ে। প্রাথমিক পর্যায়ে, একে নিছক একটি দুর্ঘটনা হিসেবে ধরা হয়। ধরে নেওয়া হয় যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই ঘটনাটি ঘটতে পারে।
কিন্তু, ঘটনার আলামত বিশ্লেষণ করে পুলিশ এবং গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পিত হামলা। অনেকদিন ধরেই এই হামলা জন্যে প্রস্তুত হচ্ছিলো তারা। সম্পূর্ণ পুর্ব পরিকল্পিত হত্যাকান্ড এটি। কিন্তু, তদন্ত করার জন্যে একটু সুষ্ঠু তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে যে যে আলামত প্রয়োজন হয় তার বেশ কিছু আলামত নষ্ট হয়ে যায়। যা এই তদন্তের জন্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হয়ে সাহায্য করতে পারতো। বিভীষিকাময় এই হামলায় তৎক্ষণাৎ ৩৮ জন নিহত হয়, আহত হয় ৩০০ জন। ক্ষতি হয় সব মিলিয়ে ২ মিলিয়ন ডলারের।
পরবর্তীতে টানা তিন বছর ধরে পুলিশ এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অবিরাম চেষ্টা করে গেছেন রহস্য উদঘাটনে। বিভিন্ন সময় সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের করেছে। কিন্তু কোনো গুরুত্বপূর্ণ সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরিত গাড়ির চালকের সম্ভাব্য একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছিলো পুলিশের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেই চালকে কোনো তথ্য যোগাড় করা সম্ভব হয়নি।
বোমা বিস্ফোরণের ঠিক পরদিন ওয়ালস্ট্রিটের ডাকবক্সে একটি চিঠি পাওয়া যায়, যা বিস্ফোরণের আগমুহূর্তে বক্সে ফেলা হয়েছিল। চিঠিতে লেখা ছিল, "মনে রেখো, আমরা আর সহ্য করবো না। সকল বন্দীকে মুক্তি দাও অথবা সবাই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও। -আমেরিকান নৈরাজ্যবাদী সৈনিক।"
চিঠিতে ব্যবহৃত ভাষা প্রয়োগের ধরন দেখে গোয়েন্দাদের সন্দেহের তীর চলে যায় ইতালীয় নৈরাজ্যবাদীদের দিকে, যারা পরিচিত ছিল 'গ্যালিয়ানিস্টস' নামে। গ্যালিয়ানিস্টস, মূলত আমেরিকায় অভিবাসী ইতালীয়দের একটি চরমপন্থী সংগঠন, যারা নৈরাজ্যবাদে বিশ্বাসী ছিল।
আমেরিকার শক্তিশালী হয়ে ওঠা পুঁজিবাদী অর্থনীতির ঘোর বিরোধী ছিল গ্যালিয়ানিস্টসরা। তারা পুঁজিবাদী অর্থনীতিকে পৃথিবীর অন্যতম ক্ষতিকর ব্যবস্থা বলে মনে করে। এই সংগঠনটি প্রতি গোয়েন্দাদের সন্দেহের মাত্র বেড়ে যায়। কারণ, ওয়ালস্ট্রিটে যে বোমা ব্যবহৃত হয়েছিলো সেই বোমার সাথে বা বোমা তৈরী কৌশলের সাথে মিল পাওয়া যায় এর আগেও যখন এই সংগঠনটি বিগত কয়েক বছরে আমেরিকার বেশ কয়েকটি শহরে হামলা করেছিলো তখনকার বিস্ফোরিত বোমা গুলোর সাথে।
কিন্তু গ্যালিয়ানিস্টস সংগঠনের প্রধান লুইগি গ্যালিয়ানি সে সময় ইতালিতে থাকায় গোয়েন্দারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে, শক্তিশালী প্রমাণের অভাবে তদন্তকারী দল তাদের এই ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ হয়।
এই ঘটনার আরেকজন সন্দেহভাজন ছিলেন মার্কিন টেনিস খেলোয়াড় এডউইন ফিশ্চার। তিনি ঘটনার বেশ কয়েকমাস আগে থেকে তার পরিচিত এক ব্যক্তিকে পোস্ট কার্ড পাঠিয়েছিলেন। যেখানে লেখা ছিলো, ১৬ সেপ্টেম্বরের আগেই ওয়ালস্ট্রিট ছেড়ে চলে যাবার পরামর্শ। যার ফলে তার দিকে সন্দেহের তীর লাগে। তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ফিশ্চার বলেন, তিনি ঈশ্বরের নিকট থেকে বিপদের বিষয়ে বার্তা পেয়েছিলেন। এই ধরণে হতাশাজনক উত্তর পেয়ে পুলিশ বুঝতে পারে, তিনি মানসিক ব্যধিতে আক্রান্ত। ফলে, তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বছরজুড়ে একের পর এক গ্রেফতার এবং জিজ্ঞাসাবাদের পরেও তদন্তকারী দল কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি। সময় গড়ানোর সাথে সাথে তদন্ত ও স্তিমিত হতে থাকে। ঝিমিয়ে পড়তে থাকে হামলার তদন্ত কাজ। ওয়ালস্ট্রিটও ধীরে ধীরে ভুলতে থাকে জঘন্য, ভয়াবহ ঘটনাটি। প্রতিদিনকার মতো আবারো সচল হতে থাকে সেখানকার জীবন। সবাই আমার স্বাভাবিক হতে থাকে। কাজে ফিরে আসে প্রত্যেকে। অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ওয়ালস্ট্রিট আবারো তার পুরোনো গৌরব জৌলুস ফিরে পেতে থাকে।
যথার্থ তথ্য উপাত্তের অভাবে গোয়েন্দা বিভাগও তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন কোনো রকম সন্তোষজনক ফলাফল ছাড়াই। পরবর্তীতে, এই ঘটনার পেছনে আরো এক জনের নাম যুক্ত করা হয়। তিনি গ্যালিয়ানিস্ট মারিও বুদা। গোয়েন্দা সংস্থার এই ধারণার পেছনে যুক্তি ছিল, হামলায় যে ধরণের বোমা ব্যবহৃত হয়েছিলো ঠিক একি বোমা তৈরিতে পারদর্শী ছিলেন তিনি। এছাড়া, পরবর্তীতে তার বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এই হামলায় তার জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে।
যেহেতু হামলার ঠিক পরবর্তী সময়ে গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায় তার নাম ছিল না। তখন তো তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ ছিলোনা। ফলে সে সময় নিউ ইয়র্কে অবস্থান করলেও তাকে কোনোপ্রকার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়নি। পরবর্তীতে এই হামলায় তার নাম উঠে আসলে নভেম্বর মাসে, স্থায়ীভাবে মারিও বুদা আমেরিকা ছেড়ে ইতালি চলে যান। যার ফলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
১৯৪৪ সালে তৎকালীন এফবিআই ওয়ালস্ট্রিট হামলার পুনঃতদন্ত শুরু করে। ঘটনার বিভিন্ন দিক গভীর পর্যালোচনার পর গোয়েন্দারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে,ইতালীয় নৈরাজ্যবাদীদের একটি ক্ষুদ্র দল এই হামলার পেছনে দায়ী থাকার সম্ভাবনাই বেশি। অর্থাৎ তাদের পূর্বসূরিদের ধারণার সাথেই একমত প্রকাশ করেন।
ওয়ালস্ট্রিট হামলার প্রায় শতবছর হতে চললো। মার্কিন অর্থনীতির অন্যতম সূতিকাগার এই স্ট্রিটের সুউচ্চ ভবনের কোণায় কোণায় লেগে আছে সেদিনের নিহতের আর্তনাদ। কিন্তু কর্মব্যস্ততার কারণে, জীবনের কঠিন বাস্তবতার ভিড়ে চাপা পড়ে গেছে শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ এই হামলার স্মৃতি।
এই ভয়াবহ মর্মান্তিক হত্যাকান্ডকে স্মরণ করতে রচিত হয়েছে বহু বই। নির্মিত হয়েছে অনেক ডকুমেন্টারি ও সিরিজ। ওয়ালস্ট্রিট শহর সারাজীবন বয়ে বেড়াবে সেই ভয়াবহ দিনের স্মৃতি। ঠিক তেমনি ব্যর্থতার দায়ভার ও এড়াতে পারবেনা আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা। সুরাহাহীন হয়েই থাকলো সেই হত্যাকান্ডটি। জানা গেলোনা এই মর্মান্তিক হত্যার নেপথ্যের গোপন রহস্য কি ছিলো!
লেখকঃ এস এম সজীব