ব্যাক্তিত্ব

এজেন্ট গার্বো- হিটলারকে ধোঁকা দেয়া এক ডবল স্পাই।

ব্যাক্তিত্ব সোমবার, ০৫ আগস্ট ২০১৯ ০৩:৪১:৩১

১৯৪৯ সালে নিজের মৃত্যুর ঘটনা সাজান একজন লোক। সবাই জানে তিনি মরে গেছেন। আদৌ তিনি মরেননি। বেঁচে ছিলেন আরো প্রায় ৩০ বছর। সমগ্র বিশ্ববাসীর আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও নিজেকে সবার নজরের বাইরে রেখেছিলেন। তিনি এটা মূলত নিরাপত্তার স্বার্থেই করেন। তাঁর মনে হয়েছিল কিছু উগ্রপন্থী নাৎসি তাঁকে খুঁজে বের করে মেরে ফেলতে পারে। পরবর্তিতে তিনি ভেনিজুয়েলা গিয়ে খামার আর বইয়ের দোকান দিয়ে একটা অতি সাধারণ জীবন যাপন করতে শুরু করেন স্ত্রী সন্তানের সাথে।

তাঁর বেঁচে থাকার খবর সামনে আসে ১৯৮৪ সালের দিকে ডি-ডের এর বার্ষিকী উৎযাপন করতে তিনি যখন লন্ডনে এসে পুরোনো বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা করতে আসেন।  এর কিছু বছর পর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

কিন্তু কথা হচ্ছে কেন তিনি এতো বছর বেঁচে থেকেও নিজের মরে যাওয়ার খবর পৃথিবীকে জানিয়েছিনেল? কেনইবা তার মনে হয়েছিলো কোনো এক বাহিনীর বেঁচে যাওয়া কিছু সদস্য তাকে খুন করতে পারে?
 
আমরা বিভিন্ন ঐতিহাসিক যুদ্ধের গুপ্তচরদের কথা শুনে থাকি। কিন্তু এমন কি হয়েছে, একজন মানুষ যে কিনা দু'দলের হয়েই গুপ্তচরবৃত্তি করতেন?  হুম, আজকে আমরা এমনই একজন ব্যাক্তির কথা আলোচনা করবো যিনি একজন গুপ্তচর হয়ে দু’পক্ষ থেকেই পুরষ্কার, সম্মাননা পেয়েছেন পৃথিবীর একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে।

তিনি একজন ডাবল এজেন্ট,  তিনি গুপ্তচর, একজন মাস্টারমাইন্ড, একজন দারুণ অভিনেতা, চোখে চোখ রেখে সফল ভাবে মিথ্যা বলতে পারা একজন অতি সাহসী ও বুদ্ধিমান।  মিথ্যা বলায় তিনি অদ্বিতীয়। তাঁর সুচারু তীক্ষ্ণ  কৌশল আর ধোঁকা দেয়ার অসীম  ক্ষমতায়  স্বয়ং হিটলার বোকা বনে যাবেন তা কেউই ভাবতে পারেনি ঘুণাক্ষরেও। ২য় বিশ্বযুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছিলেন তিনি একাই। নিজের বুদ্ধিমত্তার বলে। তিনি “পুজোল”। হুয়ান পুজোল গার্সিয়া।

তার জন্ম ও বেড়ে উঠা অত্যন্ত সাধারণ ভাবে। স্পেনের কাতালুনিয়ার বার্সেলোনায় এক অতি সাধারণ কৃষক পরিবারে ১৯১২ সালে জন্ম গ্রহণ করেন হুনান পুজোল গার্সিয়া। তার পিতা ও পিতামহ বংশানুক্রমিকভাবে কৃষক ছিলেন। তাদের পরিবার ছিলো মোটামুটি সচ্ছল।  পুজোল গার্সিয়া ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক চরমপন্থীদের ঘৃণা করার ফলে মিলিটারিতে যোগদানের কথা ভাবেননি কখনো। কিন্তু তাও তিনি কিন্ত  বামপন্থী রিপাবলিকান দলে যোগদান করেন। তবে কখনোই মন থেকে তাদের মেনে নিতে পারেননি।

এর পেছনে তার পারিবারিক কারণ ছিলো। মনে মনে তিনি রিপাবলিকানদের ঘৃণা করতেন।  রিপাবলিকানদের হাতে গ্রেপ্তার হতে হয়েছিলো তাঁকে আর তাঁর মাকে। তার ভগ্নীপতিকেও  ধরে নিয়ে গেছিলো। তাই বাধ্য হয়ে রিপাবলিকানদের সাথে কাজ করলেও তাঁর চোখ ছিল জেনারেল ফ্র‍্যাংকো এর White Nationalist দলের দিকে।

যেই ভাবনা সেই কাজ। নিজের মনের সুপ্ত ইচ্ছাকে তিনি বাস্তবে রূপ দান করেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নকল কাগজপত্র তৈরি করে এক সময় যোগ দেন ন্যাশনালিস্ট দলে। আর এটিই হলো তার  তাঁর দ্বৈত চরবৃত্তির জীবনে পদার্পণের প্রথম ধাপ ।

কিন্তু তিনি সেখানেও তৃপ্ত হতে পারলেন না। জেনারেল ফ্র‍্যাংকো একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলে তাদের মনোভাবেও  পুজোল বিরক্ত হয়ে পড়েন। দল ত্যাগ করে চলে যান পুজোল।  আবার গিয়ে তাঁর পুরনো পেশাতেই মনোনিবেশ করেন। কৃষি কাজ ও খামার তৈরী করেন। ন্যাশনালিষ্ট, বা রিপাবলিকান এই দুই দলের আচরণই তাঁকে ফ্যাসিস্ট আর কমিউনিস্ট দুই পক্ষের প্রতি বিরূপ করে তোলে। তিনি দুই দলকেই সমান ভাবে অপছন্দ করতে শুরু করেন।

পুজোল তখন তাঁর সাধারণ জীবন যাপন করছিলেন। ঠিক তখনই বেজে উঠে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘন্টা। চারদিকে দাবানল জ্বলে উঠে। হাহাকার করতে থাকে সমগ্র দুনিয়া। হিটলার  তার ক্ষমতার দাপটে পৃথিবী জয় করার স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে।

১৯৩৯ এর সেপ্টেম্বরে নাৎসিবাহিনী পোল্যান্ড দখল করে। তার দু'দিন পর গ্রেট ব্রিটেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে বসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল।
স্পেনে বসে খামার চালানো পুজোল দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে দেখছিলেন এই যুদ্ধ শুরুর হুংকার। যেহেতু তিনি জীবনের কিছু সময় সিভিল ওয়ারে ছিলেন তাই তিনি মোটামুটি কিছুটা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে এই যুদ্ধের পরিণাম খুব ভয়াবহ। এই যুদ্ধের ফলে পুরো দুনিয়া হুমকির মুখে। সভ্যতা বিনাশের পথে। এই ব্যাপারটা তাকে খুব বেশি ভাবাচ্ছিলো। চুপ করে আর বসে থাকতে পারলেননা।

পুজোল পরপর তিনবার মাদ্রিদে অবস্থিত ব্রিটিশ এম্ব্যাসিতে গিয়ে সাহায্য করতে চেয়েও পাননি। ব্যার্থ হয়ে ফিরে আসতে হয় তাকে। কারন তিনি ছিলেন অনভিজ্ঞ। আর একজন অনভিজ্ঞ ব্যক্তিকে কেউই ভরসা করতে পারেনা। তাই জন্যে পুজোলকে বারবার ব্যর্থ হতে হয়েছে। কিন্ত পুজোল থেমে যাওয়ার মানুষ নন।

তখন ১৯৪১ সাল। বসন্ত চলছে। পুজোল চলে গেল মাদ্রিদে  অবস্থিত জার্মান এম্ব্যাসিতে। ধীর পায়ে হেঁটে গেলেন জার্মান এম্ব্যাসির ভেতর এবং পালটে দিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিণতি। সেখানে গিয়ে তিনি পরিচয় দেন, তার নাম সিনর লোপেজ।  নিজেকে একজন চরমপন্থি ফ্যাসিষ্ট হিসেবে পরিচয় দেন । জানালেন তিনি তাঁর পিতৃভূমির জন্য কাজ করতে চান। জার্মানের পক্ষে কাজ করতে চান।  কোনো এক অজানা কারণে তারা পুজোলের বানোয়াট কথা গুলোকে মনেপ্রানে বিশ্বাস করে নিলো। হয়তো পুজোলের অসাধারণ মিথা বলার ক্ষমতাই কাবু করে ফেলেছিলো জার্মান সিক্রেট সার্ভিসকে।

একজন স্প্যানিস অফিসারের বেশ ধরে প্রিন্টার ম্যানকে বোকা বানিয়ে তিনি তৈরি করেন নকল ডকুমেন্টস যা হুবুহু ডিপ্লোমেট পাসপোর্টের মতই।
এরপর তাঁকে দেয়া হয় ছোট একটা এসপিওনাজ কোর্স, অদৃশ্যকালি, একটা কোড বুক, কিছু টাকা আর একটা নতুন নাম- এনরিখ। মূলত  পুজোল ব্রিটিশদের সাহায্য করতে চাইছিলেন, তিনি হয়ে গেলেন জার্মান চর।

তিনি সরাসরি ব্রিটেনে না গিয়ে চলে গেলেন তৎকালীন নিরপেক্ষ পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে। লিসবন ছিল বিশ্বে তাবত স্পাইদের আস্তানা। তিনি কখনো জীবনে ব্রিটেন দেখেননি পর্যন্ত,  সেই তিনি  তিনি বিভিন্ন বই, গাইডবুক, ম্যাগাজিন ও ব্রিটিশ ডিকশনারির সাহায্য নিয়ে নিজেকে একজন ব্রিটিশ হিসেবে শুধু পরিচিত করেন।

সেইসাথে গড়ে তুলেছিলেন ভুয়া এজেন্টদের একটি বিশাল ও নিখুঁত নেটওয়ার্ক। এই নেটওয়ার্ক এর সূত্র দিয়ে জার্মান ইনটেলিজেন্সকে পুজোল পাঠাতে থাকেন একের পর এক তথ্য। তথ্যগুলো এতটাই বিশ্বাসযোগ্য করে পুজোল উপস্থাপন  করতেন যে, ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স MI5 পর্যন্ত ধোঁকায় পড়ে বিশাল এক স্পাই হান্ট করে বসে।  যার ফলে জার্মান ইন্টেলিজেন্স এর কাছে পুজোল হয়ে ওঠেন অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য।

১৯৪২ এর এপ্রিলে তাঁকে ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স স্বীকৃতি দান করে। তিনি লন্ডনে বসবাস করতে শুরু করেন। তখনই শুরু হয় পুজোলের আসল কাজ।
নিখুত অভিনয় করতে পারেন বলেই সেই সময়কার জনপ্রিয় একজন অভিনয় শিল্পীর নামানুসারে তাঁর নাম রাখা হয় গার্বো।  এখান থেকে ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স এর সহায়তায় সাড়ে তিনশ এর বেশি বার্তা পাঠান গার্বো। এতটাই বুদ্ধিমত্তার সাথে বানানো তথ্য পাঠাতেন গার্বো যে জার্মান ইনটেলিজেন্স ব্রিটেনের মাটিতে আর কোন স্পাই পাঠানোর প্রয়োজনীয়তাই অনুভব করেনি।

তবে গার্বো কিছু মিথ্যা আর কিছু সত্য তথ্য মিশিয়ে পাঠাতেন, যাতে ক্রস চেক করার সময় তাদের সন্দেহ না হয়। কিন্ত গার্বো যা করেন তা হলো চিঠির গায়ে জাহাজ ছাড়ার আগের তারিখের স্ট্যাম্প লাগিয়ে দেন কিন্ত ইচ্ছাকৃতভাবে পাঠান নৌবহর ত্যাগের অনেক পরে। যেহেতু এয়ার মেইলে চিঠি পাঠানো হতো, তাই জার্মান ইনটেলিজেন্স এটাকে বিমান কোম্পানির ভুল মনে করে তাঁর পাঠানো তথ্যে খুবই আপ্লুত হয়ে তাঁকে বোনাস দিয়ে বসেন।

কিন্ত এই এয়ার মেইলের সময় বিভ্রাট কমাতে জার্মান ইন্টেলিজেন্স ব্যবস্থা করে রেডিও ট্রান্সমিশনের। গার্বোর উপর বিশ্বাস করে জার্মান ইনটেলিজেন্স তাঁকে পাঠায় একটি গোপন রেডিও ট্রান্সমিশন প্ল্যান এর ১৭ টি মাইক্রো ডট ছবি।সেইসাথে পাঠায় ১টি টপ সিক্রেট সাইফার টেবিল যাতে রেডিও ট্রান্সমিশনগুলো এনকোড করা যায়। MI5 সেটি তাড়াতাড়ি ব্লেচলি পার্কে কোড ব্রেকারদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এখন ব্রিটিশ কোড ব্রেকাররা খুব সহজেই তাদের আভ্যন্তরীণ বার্তাগুলোকে এনকোড করে ফেলতে পারছিল যা জার্মানদের একেবারেই অজানা।

১৯৪৪ এর জুনে ডি-ডেতে আক্রমণের জন্য যে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল তার নাম দেয়া হয়েছিল অপারেশন ওভারলর্ড। আর এই মিশন সফল করার মূলনায়ক  ছিলেন গার্বো, যার মিশন ছিল মিথ্যা ও ধোঁকার মাধ্যমে অপারেশন ওভারলর্ডকে সফল করা। এই মিশনের নাম দেয়া হয়েছিল অপারেশন ফর্টিচিউড।
কমান্ডার জেনারেল আইজেন হাওয়ার এবং ফিল্ড মার্শাল মন্টগোমারি জানতেন এটি হবে যুদ্ধের সবচেয়ে সংবেদনশীল ও ঝুকিপূর্ণ মুহুর্ত। এটি অনেকটা ডু অর ডাই পরিস্থিতি। এই জুয়ায় হার মানে পুরো যুদ্ধে হেরে যাওয়া।

অপরদিকে তাদের জন্য অপেক্ষায় ছিল জার্মানির শ্রেষ্ঠ সৈনিক ফিল্ড মার্শাল রোমেল। যিনি তার দূরদর্শিতা আর বিচক্ষণতার জন্য বিখ্যাত। তিনি ছিলেন আটলান্টিক ওয়ালের দায়িত্বে। তিনি হাজার হাজার মাইল সমুদ্রতট পরিখা আর দুর্ভেদ্য বাধা সৃষ্টি করে সেটিকে মৃত্যুপুরী করে তুলেছিলেন। সেই সাথে ছিল মাইলের পর মাইল মাইন, সৈন্য আর অস্ত্রশস্ত্র। কিন্ত এত প্রস্তুতির পরও রোমেল শুধু জানতেন না আক্রমণ হবে কখন। আর এই সুযোগটাই প্রয়োজন ছিল গার্বোর।

গার্বোর মূল কাজ শুরু হল এখন। তাঁর মিশনের মূল অংশ হল জার্মান ইনটেলিজেন্সকে বিশ্বাস করানো যে মিত্র বাহিনীর মূল আক্রমণ নরম্যান্ডিতে না হয়ে হবে স্ট্রেইট অব ডোভারে। নরম্যান্ডির আক্রমণ শুধুই একটি ডাইভার্শন। তাঁর এই তথ্যের ভিত্তিতেই জার্মান বাহিনীর ২১ ডিভিশন সৈন্যকে অন্য জায়গায় রাখা হয়।

মিত্রবাহিনী নরম্যান্ডির ৫টি সৈকতে একযোগে আক্রমণ করে এবং আঙ্গুলের তুড়িতেই তা দখল করে নেয়। কিছুটা হতভম্ব হয়ে হিটলার ডেকে পাঠান তাঁর প্যানযার ডিভিশন, যা ছিল মিত্র বাহিনীর সবচেয়ে বড় ভয়।

গার্বোর পক্ষ থেকে আসল বার্তাটি পাঠানো হয় ৯ জুন। এটি ছিল সেইদিন, যেদিন হিটলার এবং হাই কমান্ড নিজেদের মধ্যে তর্ক করছিলেন যে নরম্যান্ডিই আসল আক্রমণ কিনা,  এবং সকল রিজার্ভ বেলজিয়াম আর ফ্র‍্যান্স থেকে সরিয়ে এনে নরম্যান্ডি পুনরায় দখল করা উচিত হবে কিনা। ঠিক সেসময় গার্বো পাঠালেন তুরুফের তাস। বললেন “নরম্যান্ডি আক্রমণ শুধু একটি ধোঁকা, বিশ্বাস করুন আমাকে”।

তাঁর এই কথাটির উপর ভরসা করেই হিটলার বার্তা পাঠিয়ে তাঁর প্যানযার ডিভিশনকে ফিরে যেতে বললেন, যারা ইতিমধ্যেই রওনা হয়ে গিয়েছিল। ঠিক এই মূহুর্তটিতেই রচিত হয়েছিল নরম্যান্ডির ভবিষ্যৎ, যুদ্ধের ভবিষ্যৎ আর পুরো মানব সভ্যতার ভবিষ্যৎ – আর এর রচয়িতা স্বয়ং গার্বো।

যুদ্ধকালীন তাঁর এই অসাধারণ অবদানের জন্য ব্রিটিশ পক্ষ থেকে তাঁকে MBE সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। অপরদিকে জার্মানিও তাঁকে Iron Cross Second Class মেডেলে সম্মানিত করে। যুদ্ধ শেষে নিরাপত্তার স্বার্থে ১৯৪৯ সালে এঙ্গোলায় ফিরে গিয়ে তিনি নিজেই তার মৃত্যুর ঘটনা সাজান। তার মনে হয়েছিলো কিছু উগ্র নাৎসী সদস্য তাকে খুঁজে হত্যা করে ফেলতে পারে।

https://www.npr.org/2012/07/07/156189716/agent-garbo-the-spy-who-lied-about-d-day
https://www.history.com/news/spy-double-agent-death-hoax-world-war-2

লেখকঃ এস এম সজীব